অষ্টম শ্রেণি: আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও উদ্ভিদ জগৎ।

আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও উদ্ভিদ জগৎ

*পরিবেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গাছ:
1) বাঁশ:
বৈশিষ্ট্য:
 (i) বাঁশ এক ধরনের বহুবর্ষজীবী, নিরেট পর্ব ও ফাঁপা পর্বমধ্য যুক্ত চিরসবুজ উদ্ভিদ।
(ii) এদের কাণ্ড লম্বা নলের মত এবং শাখা প্রশাখার পরিমাণ কম।
(iii) বাঁশের বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয় প্রতি 24 ঘণ্টায় কোন কোন বাসের প্রায় 100 সেমি বৃদ্ধি হয়।

Mass flowering:
                            পরিবেশগত প্রভাবে, সময় ও ঋতুভেদে বাঁশের অঙ্গজ বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে জননগত বৃদ্ধির সময় ফুল ফুটতে শুরু করে; ফুল ফোটার পরেই বাঁশ গাছের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ সময় বাদে বাঁশ গাছের ফুল ফোটার ঘটনাকেই Mass flowering বলে।

Note: 
          বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর জন্মানো বাঁশের একটি প্রজাতি হলো Melocanna bambusoides । এতে প্রতি 30-35 বছর অন্তর ফুল ফোটে ও ফল আসে।

বাঁশের ব্যবহার:
 (i) বাঁশের নরম কান্ড, গোড়া আর পাতা হল বিশ্বের বিপন্নতম প্রাণীগুলোর অন্যতম প্রধান খাদ্য।(চীনের জায়েন্ট পান্ডা, নেপাল ও ভারতের রেড পান্ডা, মাদাগাস্কারের লেমুর)

(ii) কিছু বাঁশের গোড়ায় এক ধরনের পোকা জন্মায়, এরা বাঁশের নরম কান্ড খায়। স্থানীয় মানুষ এই পোকার  লার্ভাদের খাদ্য রূপে গ্রহণ করে।(লাওস,মায়ানমার,থাইল্যান্ড ও চীনের য়ুনান প্রদেশ)
(iii) Bambusa arundinacea  নামক বাঁশের পর্বমধ্যে সিলিকন ডাই অক্সাইড ও সিলিসিক  অ্যাসিড  সমৃদ্ধ 'তবাশির'(Tabashir) নামক এক গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ প্রস্তুত হয়;যা হাঁপানি,সর্দি-কাশি ও নানা সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
(iv) বাঁশের তন্তর ব্যাস 3 mm এর কম। তাই 'Bamboo fabric' কে ইদানিং জামাকাপড় তৈরির কাজেও ব্যবহার করা হয়।
(V) ভারতবর্ষে বাঁশ কাগজ তৈরি,ঝুড়ি বা চুপড়ি , ছাতার বাট, ফুলদানি,ট্রে,বাঁশি, নানা ধরনের খেলনা এবং এমনকি ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

*If You Love Playing Online Game Visit-Youtube


Comments

Popular posts from this blog